• লোহাগড়া নার্সের তড়িঘড়ি চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু

মো: অাজিজুর বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল।

নড়াইলের লোহাগড়া মোরশেদা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারের সেবিকার ভূল চিকিৎসার শিকার হয়ে এক শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


১৮/মাস বয়সী শিশু মারিয়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের বকুল শেখের মেয়ে।
স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিশু মারিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। অভিভাবকরা তাকে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে লোহাগড়ার ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যাম এর চেম্বার নিয়ে আসেন।

এসময় ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যাম ওই শিশু রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য কুন্দসি এলাকার মোর্শেদা ক্লিনিকে পাঠান।

মোর্শেদা ক্লিনিকের সেবিকা সিমা তড়িঘরি করে ওই শিশুকে একটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বলে স্বজনদের অভিযোগ। এরপর বিকাল ৩ টার দিকে ওই শিশুর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে মোর্শেদা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে শিশুর অভিভাবকরা পুনরায় ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যামের চেম্বারে পাঠান।

এ সময় ওই ডাক্তার শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেন, এবং তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

এরপরে শিশুর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অভিভাবকরা তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার আগেই শিশুটি মারা গেছে। চিকিৎসক প্রবীর কুমার দে শ্যাম শিশু মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি। এরপর ওই শিশুর অভিভাবকরা কি করেছে আমি জানি না।

এ ব্যাপারে মোর্শেদা ক্লিনিকের মালিক জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে সে ওতার স্ত্রী র্মোরশেদা কিছু না বলে রাগান্বিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে এড়িয়ে যায়।

এরপর কথা হয় ইনজেকশন করা ওই নার্স সিমার সাথে তিনি বলেন শ্যাম বাবুর লেখা পিসক্রিপশন এর অনুযায়ী শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, আর আমি সাংবাদিকদের কাছে কোন ভিডিও বক্তব্য দিতে পারবো না। বলে এড়িয়ে চলে যাই।

 

মো: অাজিজুর বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল।

মোবাইল : ০১৭০৫১৯৩০৩০/০১৯২০২৮১৭৮৭